Responsive Ads Here

Thursday 24 October 2019

ডাউনলোড করে নিন ১৯সালের বেস্ট সেলার বই "প্যারাময় জীবনের প্যাসিটামল"

আসসালামুআলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আপনাদের সামনে নিয়ে আসলাম 2019 সালের অন্যতম বেস্ট সেলার বই প্যারাময় জীবনের প্যারাসিটামল। এ বই সম্পর্কে কিছু বলার আগে জেনে নেই বইটির লেখক সম্পর্কে, এ বইয়ের লেখক হচ্ছেন সময়ের অন্যতম আলোচিত আমেরিকান প্রবাসী লেখক ঝংকার মাহবুব। ইয়োর ডাউন ব্যাটারি বইটির মাধ্যমে পাঠক সমাজে তিনি এক জায়গা করে নেন। এই বইটিতে দৈনন্দিন জীবনের কথোপকথনের মাধ্যমে ছাত্রজীবনের পাশাপাশি কতগুলো সমস্যা সমাধান দেয়ার পাশাপাশি ভালো মেসেজ পাঠানো সফল হয়েছেন। নোয়াজ হচ্ছে এ বইয়ের মুল চরিত্র, সে তার তার রেজাল্ট, বন্ধুবান্ধব সহ অন্যান্য বিষয়ে হতাশ, তার এই হতাশার সময় তার সামনে আসেন তার সিনিয়র ভাই সোহান। তিনি চমৎকার কিছু উপদেশ দেন, সেগুলো জানতে বইটি পড়তে হবে😛, অথবা চোখ রাখতে হবে আগামী পর্বে, বইটির রকমারি থেকে কিনতে বইয়ের ডাউনলোড লিনক____

Sunday 20 October 2019

প্যারাময় জীবনের প্যারাসিটামল ও তার সারমর্ম



প্যারাময় জীবনের প্যারাসিটামল আমার পড়া ঝংকার মাহবুবের দ্বিতীয় বই। ইতিপূর্বে তার লেখা "রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি" পরে এক ধরনের ভালোলাগা তৈরি হয়। সাধারণত আত্মোন্নয়ন মূলক বই গুলো অনেক উপদেশের সমষ্টি হয়ে থাকে। যেগুলো পড়তে পড়তে অনেক বিরক্ত লাগে, কিন্তু ঝংকার মাহবুব আমার প্রিয় আমার দেখা প্রথম বাঙালি লেখক যার লেখা বিরক্তিকর নয়, তিনি অন্যদের থেকে আলাদা।


তার দুটো বইয়েই সিনিয়র জুনিয়রকে উপদেশ দেয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে ।
রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি বইয়ের মূল চরিত্র মাধ্যমিক শ্রেণীর। কিন্তু প্যারাময় জীবনের প্যারাসিটামল চরিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, সে হিসেবে বইয়ের আলোচনার ক্ষেত্র ও পরিধি ব্যাপক।
রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি পড়ার সময় রিভিউ বাংলা লেখার কোন উদ্দেশ্য ছিল না। তাই সে বইয়ের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কথায় আজ ভুলে গেছে সে সম্পর্কে অন্য কোন সময় আলোচনা করা হবে। তবে সে বুঝে উঠতে কি আজও মনের মধ্যে গেঁথে আছে সেটি হল:- পৃথিবীতে ট্যালেন্ট বলতে কিছু নেই আমরা যাকে খেলেন বলি সেগুলো হচ্ছে নিজ কর্মফল, কথাটি 100% সত্য না হলেও 90-95%ই সত্য সেকথা অস্বীকার করার উপায় নেই। ক্লাসের ফার্স্ট বয় প্রতিদিন পড়াশোনা করে বলেই সে ফার্স্ট হয়, অপরদিকে সে যদি কয়েক মাসের জন্য পড়াশোনা বাদ দিয়ে দে তাহলে পরের সেমিস্টারে তার স্থান আর প্রথম দিনের মধ্যে হবে না, সে যদি তার এই পড়াশোনা না করার অভ্যাস কন্টিনিউ রাখে তাহলে হয়তো সে একদিন ভালো ছাত্রের তালিকা হারিয়ে যাবে, একদিন তাকে মেধাহীন ছাত্র হিসেবে গণ্য করা হবে সাথে সাথে সে নিজেকেও ট্যালেন্টহীন হিসেবে ভাবতে শুরু করবে। রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি এর উপরোক্ত একটি উক্তি মনে ছিল। 
2020 সালের আগে ১০টি বইয়ের সম্পর্কে লেখার জন্য নিজের লক্ষ্য সেট করার সময় অনেকগুলো অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ উক্তি নোট করে এবং ছবি তুলে নিয়েছিলাম যার আলোকে নিচের আলোচনা,
300 বরাতের জন্য সময় নষ্ট না করে ভালো কাজ বা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে এমন কাজের জন্য সময় ব্যয় করার কথাও বলেনবইয়ের মূল নায়ক তিনি সফলতার জন্য সময় নষ্ট না করেহচ্ছেন মাসে ছাত্রজীবনের সম্পর্কে নিরাশ অপরদিকে তার সিনিয়র ভাই। বইচির শুরুর দিকে সুবহান তার ছোটভাই পরীক্ষা 3 সপ্তাহ আগে পড়াশোনা করার পরও মন খারাপ করতে দেখে তখন তিনি তাকে চমৎকার একটি উপদেশ দেন ভুল করে কেউ এভারেস্ট জয় করে না, কেউ বিসিএস আটকে যায় না, করে হারবার এম আই কি স্কলারশিপ পেয়ে যায় না পড়ে কেউ যদি ক্লাসে ফার্স্ট হয়ে যাবে না এসব এসব পাল হতে হলে কঠিন অধ্যাবসায় এবং পরিশ্রম করতে হবে ।হলো তার জন্য সময় নষ্ট না করে ভালো কাজ বা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে এমন কাজের জন্য সময় ব্যয় করার কথা বলেন।
আমরা সাধারণত বড় বড় টার্গেট সেট করি এবং সেগুলো কিছুদিন পর ভুলে যাই আইছে জন্য ছোট ছোট লক্ষ্য সেট করা উচিত। আরো ছোট ছোট সেই লক্ষ্য সফল হলে যে মনোবল বৃদ্ধি পাবে তেমনি নিজেকে নিজের অবস্থান সম্পর্কে খুব সহজে বুঝা যাবে।
বর্তমান ছাত্র সমাজের জীবন ধ্বংসের অন্যতম কারণ হচ্ছে সময় নষ্ট করা আমাদের এই সময়ের প্রধান অংশই ধ্বংস হয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হয়তো পড়তে বসলাম, তখন এক নোটিফিকেশন আসলো আর সেটা দেখার জন্য 20 সেকেন্ডের জন্য ঢুকলেও 20 মিনিটের হওয়া যায়না ফেসবুক ইউটিউবসহ প্রায় সমস্ত টিভি চ্যানেলগুলো আমাদের ফ্রিতে তাদের অনুষ্ঠানের নাটক-সিনেমা দেখা দিলেও এগুলো বানাতে তাদের লাখ লাখ টাকা খরচ হয় ল, তবে কি তারা আমাদেরকে নিজের লোকসান করে প্রীতি দেখতে দিয়ে দেয় তা কিন্তু নয় তারা নাটক-সিনেমা বা বিভিন্ন কিছুর ভিড়ে বিজ্ঞাপন দেখিয়েছি কোটি কোটি টাকা আয় করে নিচ্ছে আর আমরা দর্শক কি আয় করছি বরং আমরা জীবনের মূল্যবান সময় ব্যায় করছি।
 এ বইটি পড়ার সময় জানতে পারলাম মানুষের মনোযোগ প্রদান বা মনোনিবেশ প্রধান দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমন একটি ক্রিকেট খেলার ম্যাচ দেখার সময় আমরা যখন দর্শক হিসেবে খেলায় মনোযোগ করি তখন আমাদের খেলার প্রতিটি সেকেন্ড এই ভালোভাবে পরখ করি, কখন কোন উইকেট যাবে, কখন কে ছক্কা মারবে সেই আশায় কিন্তু এ থেকে আমাদের বিন্দুমাত্র উপকার হয় না আমরা একটা কারো উপকার পাই না অপরদিকে আমাদের মত খেলোয়ারদের ও মনোযোগ থাকে অথচ তারা এই মনোযোগ উজ্জীবিত করে কোটি কোটি টাকা আয় করে নিচ্ছে,সে যদি ভাল করে মনোযোগ প্রদান করে তাহলে তার নাম ডাক ছড়িয়ে পড়বে অপরদিকে আপনি যত বেশিই মনোযোগ প্রদান করেন না কেন আপনি সাধারন একজন দর্শক হিসেবেই পরিচয় লাভ করবেন।